আমেরিকা , বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ , ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টহল গাড়িতে ধাক্কা, ডেট্রয়েটে আহত এমএসপি সদস্য আজ শ্যামাপূজা ও দীপাবলি ‘নো কিংস’-এর ডাকে উত্তাল মার্কিন মুলুক শাপলা প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয় : ইসি আনোয়ারুল ইসলাম হ্যামট্রাম্যাক প্রার্থীদের সঙ্গে বাংলা প্রেসক্লাব মিশিগানের প্রাণবন্ত মিট অ্যান্ড গ্রিট আগুনে স্তব্ধ শাহজালাল বিমানবন্দর, রাতেই আবার সচল আকাশপথ মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ৮৫ মিলিয়ন ডলারের বাজেট কাটছাঁট মিশিগানের অটোয়া কাউন্টিতে আবারও বার্ড ফ্লু শনাক্ত ভার্জিনিয়ায় মুসলিম নারীকে লাঞ্ছনার অভিযোগে নর্থভিলের এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার নির্বাচনী জালিয়াতি : বিচারের মুখে হ্যামট্রাম্যাক কাউন্সিলম্যান মোহাম্মদ হাসান  ইঙ্গাম কাউন্টিতে ছোট বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৩ শুক্রবার সংসদে জুলাই সনদ সই, ড্রোন ওড়াতে নিষেধাজ্ঞা মিশিগান আসছেন জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান অবার্ন হিলসে সড়ক দুর্ঘটনায় ডেট্রয়েটের এক নারী নিহত মিশিগান রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগে প্রাক্তন কর্মকর্তার মামলা ক্যান্টন টাউনশিপে ছুরিকাঘাতে আহত ৩ : আত্মীয় গ্রেপ্তার সারা মিশিগানে ‘আরএক্স কিডস’ কর্মসূচি সম্প্রসারিত হচ্ছে পুলিশ স্টেশন ‘উড়িয়ে দেওয়ার’ হুমকি : অভিযুক্ত লিভোনিয়ার বাসিন্দা মিশিগানে বাড়িতে গাড়ির ধাক্কা, বিছানা থেকে  উঠোনে ছিটকে পড়ে শিশু আহত পোর্ট হুরনে পেট্রোল পাম্পে গুলিবর্ষণে নিহত ১, নারী গ্রেপ্তার

বিভুরঞ্জন এর চলে যাওয়া এবং পচে যাওয়া সমাজের গল্প

  • আপলোড সময় : ২৪-০৮-২০২৫ ০১:৩০:৩৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০৮-২০২৫ ০১:৩০:৩৭ পূর্বাহ্ন
বিভুরঞ্জন এর চলে যাওয়া এবং পচে যাওয়া সমাজের গল্প
প্রখ্যাত সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার নেই। তাঁকে কখনও সামনে থেকে দেখি নি, কিন্তু খবরের কাগজে তাঁর নাম দেখতে দেখতে বড় হয়েছি। অসাধারণভাবে লিখতেন তিনি। সাংবাদিকদের আইকন। আমি তাঁর লেখা পড়তে পড়তেই নিজেও লেখালিখির জগতে প্রবেশ করেছি, সাংবাদিকতার পথ ধরেছি। মনে হতো, তাঁর সাথে আমার আদর্শিক একাত্মতা আছে।
ঘুণে ধরা সমাজের চোখে আঙুল তুলে তিনি কলম চালাতেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই সমাজের প্রতিই অভিমান করে পানিতে ঝাঁপ দিলেন। তাঁর জীবনের শেষ লেখা ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি আজ ইতিহাস হয়ে থাকবে।
ড. ইউনুস একসময় বলেছিলেন: আপনারা সত্য লিখুন। অথচ আজকের বাস্তবতা হলো কেউ আর সত্য লিখতে পারে না। আগের সরকারে অন্তত কিছুটা লিখবার সুযোগ ছিল, এখন অঘোষিতভাবে প্রেস নিয়ন্ত্রিত। 
শেখ হাসিনার আমলে জাতীয়তাবাদী আদর্শের অনেক সাংবাদিক ১০, ২০, এমনকি ৫০ লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তা পেয়েছেন। কিন্তু বিভুরঞ্জনের ভাগ্যে জোটেনি কিছুই। সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা আজ ওয়াশিংটনে মোটা বেতনের চাকরিতে, ইকবাল সোবহানদের হাতে বিপুল অর্থ, অথচ বিভুরঞ্জন সরকারের জীবন চলছিল না। বিভুরঞ্জন সরকার চেষ্টা করেছেন বারবার, কিন্তু সহযোগিতা পাননি।
আজকের মিডিয়া হাউসগুলো শিল্পপতিদের হাতে বন্দি। তারা সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে চলে। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা আর খবরে আসে না। ৪২টি টেলিভিশন চ্যানেল আছে দেশে, কিন্তু কোনোটিই জনগণের পাশে দাঁড়ায় না। ছাপার কাগজগুলোও একই রকম। এক ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর এসেছিল আরেক ফ্যাসিস্ট শাসন, আগের চেয়ে পাঁচ গুণ ভয়ঙ্কর।
আমার প্রিয় সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার আর নেই। মিডিয়া পাড়ায় আজ শোকের ছায়া। শত শত সাংবাদিক দেশ ছেড়ে পালাতে পেরেছেন, কিন্তু তিনি পারেননি। বয়স, অর্থকষ্ট আর সামাজিক বৈষম্যের কারণে জীবনের শেষপ্রান্তে এসে তিনি খুঁজে নিলেন চিরশান্তির আশ্রয়।
একসময় আমরা শুনতাম, সাগর-রুনিকে সরকার হত্যা করেছে। পরে অপপ্রচার চালিয়ে বলা হলো, তাদের মৃত্যু নাকি ব্যক্তিগত জীবনের কারণে। বছর ঘুরে বছর গেছে, সত্য আড়ালেই রয়ে গেছে। অথচ তাদের মেয়েকে গতকাল সরকার প্লট দিয়েছে, সব হিসাবই গোলমেলে। এদিকে, মনির হায়দারের মতো সেকেন্ড-গ্রেড সাংবাদিক হয়ে গেছেন সিনিয়র সচিব, কেউ বা রাষ্ট্রদূত। দালালদের জয়জয়কার এই অপয়া সমাজে।
আর বিভুরঞ্জন সরকার? তিনি চূড়ান্ত অপমান, দুঃখ আর অভিমানের কাছে হার মানলেন। পানির নিচেই হয়তো পেলেন সেই শান্তি, যা মাটির পৃথিবী তাঁকে দিতে পারেনি।বিভুরঞ্জন এর চলে যাওয়া এবং পচে যাওয়া সমাজের গল্প
প্রখ্যাত সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার নেই। তাঁকে কখনও সামনে থেকে দেখি নি, কিন্তু খবরের কাগজে তাঁর নাম দেখতে দেখতে বড় হয়েছি। অসাধারণভাবে লিখতেন তিনি। সাংবাদিকদের আইকন। আমি তাঁর লেখা পড়তে পড়তেই নিজেও লেখালিখির জগতে প্রবেশ করেছি, সাংবাদিকতার পথ ধরেছি। মনে হতো, তাঁর সাথে আমার আদর্শিক একাত্মতা আছে।
ঘুণে ধরা সমাজের চোখে আঙুল তুলে তিনি কলম চালাতেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই সমাজের প্রতিই অভিমান করে পানিতে ঝাঁপ দিলেন। তাঁর জীবনের শেষ লেখা ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি আজ ইতিহাস হয়ে থাকবে।
ড. ইউনুস একসময় বলেছিলেন: আপনারা সত্য লিখুন। অথচ আজকের বাস্তবতা হলো কেউ আর সত্য লিখতে পারে না। আগের সরকারে অন্তত কিছুটা লিখবার সুযোগ ছিল, এখন অঘোষিতভাবে প্রেস নিয়ন্ত্রিত। 
শেখ হাসিনার আমলে জাতীয়তাবাদী আদর্শের অনেক সাংবাদিক ১০, ২০, এমনকি ৫০ লাখ টাকা চিকিৎসা সহায়তা পেয়েছেন। কিন্তু বিভুরঞ্জনের ভাগ্যে জোটেনি কিছুই। সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা আজ ওয়াশিংটনে মোটা বেতনের চাকরিতে, ইকবাল সোবহানদের হাতে বিপুল অর্থ, অথচ বিভুরঞ্জন সরকারের জীবন চলছিল না। বিভুরঞ্জন সরকার চেষ্টা করেছেন বারবার, কিন্তু সহযোগিতা পাননি।
আজকের মিডিয়া হাউসগুলো শিল্পপতিদের হাতে বন্দি। তারা সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে চলে। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা আর খবরে আসে না। ৪২টি টেলিভিশন চ্যানেল আছে দেশে, কিন্তু কোনোটিই জনগণের পাশে দাঁড়ায় না। ছাপার কাগজগুলোও একই রকম। এক ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর এসেছিল আরেক ফ্যাসিস্ট শাসন, আগের চেয়ে পাঁচ গুণ ভয়ঙ্কর।
আমার প্রিয় সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার আর নেই। মিডিয়া পাড়ায় আজ শোকের ছায়া। শত শত সাংবাদিক দেশ ছেড়ে পালাতে পেরেছেন, কিন্তু তিনি পারেননি। বয়স, অর্থকষ্ট আর সামাজিক বৈষম্যের কারণে জীবনের শেষপ্রান্তে এসে তিনি খুঁজে নিলেন চিরশান্তির আশ্রয়।
একসময় আমরা শুনতাম, সাগর-রুনিকে সরকার হত্যা করেছে। পরে অপপ্রচার চালিয়ে বলা হলো, তাদের মৃত্যু নাকি ব্যক্তিগত জীবনের কারণে। বছর ঘুরে বছর গেছে, সত্য আড়ালেই রয়ে গেছে। অথচ তাদের মেয়েকে গতকাল সরকার প্লট দিয়েছে, সব হিসাবই গোলমেলে। এদিকে, মনির হায়দারের মতো সেকেন্ড-গ্রেড সাংবাদিক হয়ে গেছেন সিনিয়র সচিব, কেউ বা রাষ্ট্রদূত। দালালদের জয়জয়কার এই অপয়া সমাজে।
আর বিভুরঞ্জন সরকার? তিনি চূড়ান্ত অপমান, দুঃখ আর অভিমানের কাছে হার মানলেন। পানির নিচেই হয়তো পেলেন সেই শান্তি, যা মাটির পৃথিবী তাঁকে দিতে পারেনি।
লেখক :
সাংবাদিক ও  কলামিস্ট 
ফ্লোরিডা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
প্রথম কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত আচার্য মিশিগান আসছেন ২০ অক্টোবর

প্রথম কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত আচার্য মিশিগান আসছেন ২০ অক্টোবর